নিম ফেইস প্যাক

প্রাচীনকাল থেকেই ত্বকের যত্নে ‘নিম’ নামটা সবার মুখে মুখে। নিমকে এক কথায় মহোষৌধি বললেও ভুল হবে না হয়তো। নিম পাতা চিনে না এমন মানুষ খুব কমই হবে। অনেকেই নিম পাতাকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকেন। নিম এ আছে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। নিম এমন এক উদ্ভিদ যার পাতা, শাখাপ্রশাখা, কান্ড, ফুল, ফল সবই কাজে লাগে। মানুষের এবং  অন্যান্য প্রাণীর নানান সমস্যার সমাধানে সমান তালে কাজ করে যায় নিম। নিমের গুণাগুণ অল্প কথায় বলে শেষ করা অসম্ভব। নিমের গুণ বিচার করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) নিমকে ঘোষণা করেছে “একুশ শতকের বৃক্ষ” বলে। 

নিম ত্বকের বিভিন্ন অসুখ সারিয়ে তুলতে নিম পারদর্শী যেমন ফুসকুড়ি, পক্স, হাম, খোসপাঁচড়া, একজিমা, ফাংগাল ইনফেকশন, ব্রণ ইত্যাদি । অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, মানসিক চাপ, হরমোনাল ইমব্যালেন্স ইত্যাদি কারণে ব্রণ হয়ে থাকে। অতিরিক্ত তৈলাক্ততা, মেকাপ,ত্বকের মৃত কোষ, ধুলোবালি বা অন্য টক্সিন লোমকূপের মুখ বন্ধ করে দিলে ব্যাকটেরিয়া বাসা বেঁধে ব্রণের সৃষ্টি করে। নিমে রয়েছে অ্যান্টি-ফাংগাল, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রনের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে ত্বককে কোমল ও মসৃণ করে।

Neem face pack

নিম ত্বকের অতিরিক্ত তৈলাক্ততা কমায়। দূষণ, ধুলোবালি, অতিরিক্ত তাপ ইত্যাদির ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এক্সফোলিয়েটার হিসেবে নিম খুব ভালো কাজ করে ফলে সহজেই এটি ডেড স্কিন সেল এবং ব্ল্যাকহেড দূরীভূত করে। নিম চেহারাকে দীপ্তিময় করে এবং বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না সহজে। নিয়মিত ব্যবহারে রিংকেলস, ফাইন লাইনস কমে যায়। ফলে ত্বক হয় লাবণ্যময়। 

বর্তমানে শহরতলীতে মেহেদী পাতা বাজারে কিনতে পাওয়া গেলেও নিম পাতা পাওয়া যায় না। মাইলের পর মাইল ঘুরলেও নিম গাছের দেখা মেলা ভার। সবার কাছে নিমকে সহজলভ্য করতে হেয়ার ফুডের আছে নিম ফেইস প্যাক। এটি শুধু ত্বকে ব্যবহারের জন্য। খাওয়া যাবে না মোটেও। 

Neem face pack

হেয়ার ফুডের ফেইস প্যাক যারা ব্যবহার করে আসছেন ,  তারা নিজেরাই আমাদের ফেইস প্যাকের উপকারিতা বলে থাকেন । হেয়ার ফুডের ফেইস প্যাক অন্যন্যা ফেইস প্যাক থেকে একটু আলাদাই। কারন এতে মেশানো আছে ত্বকে যাবতীয় যা সমস্যা হওয়া সম্ভব , তার সমাধান এর ক্ষমতা রাখে এমন সকল হারবাল উপাদানের পর্যাপ্ত অনুপাত।

উপাদানগুলো নিচে দিচ্ছি-

১. ইম্পোর্টেড শ্বেত চন্দন (যেহেতু দেশে এই গাছ হয় না) ২. রক্ত চন্দন ৩. মসুর ডালের বেসন ৪. কমলার খোসা ৫. গোলাপ এর পাপড়ি ৬. মুলতানি মাটি ৭.পাহাড়ি ঝর্নার মাটি ৮. চালের গুড়া ১০. নিম পাতা ১১. গিলা ১২. হলুদ ১৩. শঙ্খ ১৪. একাংকী এসবের সাথে রয়েছে প্রয়োজন অনুসারে এসেন্স এবং সব কিছুর সঠিক অনুপাত।

এটি ব্যবহার করলে ওই দিন আর ফেইস ওয়াশ দেয়ার দরকার নেই। নিয়মিত ব্যবহার করলে স্কিনে কোমলতা আসা সহ পিম্পল, একনি, দাগ এবং নেচারালি উজ্জ্বলতা আসবে ইনশাআল্লাহ্।

ব্যবহার বিধিঃ এক চা চামচ পাউডার কুসুম গরম পানিতে আধ-ঘণ্টা ভিজিয়ে রেখে দু-ফোঁটা মধু যোগ করে পুরো মুখে ভালোভাবে মেখে আধ-ঘণ্টা রেখে আলতো ভাবে ঘষে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে ৩/৪ দিন ব্যবহার করবেন।

চোখের চারপাশের কাল দাগ দূর করতে নারিকেল তেলের ও পানির সাথে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে চোখের চারপাশে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে উঠিয়ে ফেলুন প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাবার আগে। 

নিমপাতার গুড়া যদি আপনার কাছে এভেইলেবল না হয় তাহলে কিন্তু চট করে অর্ডার করে ফেলতে পারেন আপনাদের পছন্দের হেয়ার ফুড – এ! আপনার ত্বক এবং চুলের সমস্যা জানিয়ে আমাদের মেসেজ করুন, আমরা চেষ্টা করবো আপনাকে সমস্যা অনুযায়ী সাজেশন দেয়ার ইনশা’আল্লাহ।

Leave a Reply