অ্যালমন্ড অয়েল

চুলের যত্নে আমরা কতকিছুই না ব্যবহার করি। কারণ একটাই, চুল মেয়েদের খুব পছন্দের জিনিস। চুল সুন্দর থাকলে মনও যেন ভালো থাকে! কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আমাদের চুল অনেক বেশী রাফ ও ভঙ্গুর হয়ে যায়! যার জন্য প্রয়োজন আলমন্ড ওয়েল। 

গবেষণায় দেখা গেছে বাদাম তেলে (যেমন আলমন্ড ওয়েল) আছে লুব্রিকেটিং প্রোপারটিজ,যা চুলকে রিপেয়ার করতে সাহায্য করে এবং গোড়া থেকে মজবুত করে। আলমন্ড ওয়েলে আছে ভিটামিন ই,যা ন্যাচারাল এন্টি অক্সিডেন্ট! এটি চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে। যার ফলে আপনার চুলের গ্রোথ বাড়বে আরো দ্রুত। ড্রাই স্ক্যাল্পের জন্য অত্যন্ত উপকারী হচ্ছে আলমন্ড ওয়েল। একটু আলমন্ড ওয়েল নিয়ে স্ক্যাল্পে রাব করলে এটি স্ক্যাল্পের ব্লাড সার্কুলেশন বাড়াতে সাহায্য করে।

Almond Oil

অ্যালমন্ড অয়েলের গুনের কথা বলে শেষ করা যাবে না। অ্যালমন্ড অয়েল খাবার এবং রূপচর্চায় ব্যবহারের জন্য খুবই উপকারী। এটি হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, রক্তে সুগার লেভেল স্থিতিশীল রাখে, ফ্রি র‍্যাডিক্যালের ক্ষতির হাত থেকে সুরক্ষা দেয়, এমন কি আপনার ওজন ঠিকঠাক রাখতেও ভূমিকা রাখে।  

এছাড়াও এই তেল ত্বক এবং চুলের জন্য একটি উত্তম ময়েশ্চারাইজারও বটে। ফাটা দাগ দূর করতেও এটি বেশ কার্যকর। আপনার ত্বককে এটি সানবার্ন এর হাত থেকেও বাঁচাবে।

অ্যালমন্ড অয়েল চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল হালকা করতে এবং চোখের নিচের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করবে। অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে এটি হয়ে থাকে। এছাড়া এই তেলে রেটিনল, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কেও রয়েছে, যা চোখের নিচের সূক্ষ্ম, সংবেদশীল ত্বককে ইরিটেট না করে মসৃণ রাখে। এই প্রাকৃতিক উপাদানগুলি চোখের নীচের প্রসারিত রক্তনালীগুলিকে সংকুচিত করতেও সাহায্য করতে পারে, যা বিবর্ণতা সৃষ্টিকে বাধা দেয়। একটি গবেষণায় পাওয়া গেছে, অ্যালমন্ড অয়েল এই বৈশিষ্ট্যগুলি ডার্ক সার্কেলের দৃশ্যমানতা হ্রাস করে এবং ভবিষ্যতে তাদের ডেভেলপে বাধা দেয়, ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং নিরাময়ের ক্ষমতা বাড়ায়। 

ডার্ক সার্কেলের মিটাতে আলমন্ড ওয়েলের ব্যবহার প্রনালী: 

ডার্ক সার্কেলের জন্য আলমণ্ড তেল ব্যবহার করার সময়, আপনি নিশ্চিন্তে হেয়ার ফুডের উচ্চ মানের আলমণ্ড তেল ব্যবহার করতে পারেন। হেয়ার ফুডের আলমণ্ড তেল ১০০ % বিশুদ্ধ,  কোল্ড প্রেসড এবং অরগ্যানিক।

প্রথমে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। তারপরে ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন এবং আপনার চোখের নীচের অংশে আঙ্গুলের সাহায্যে অল্প পরিমাণে আলমণ্ড তেল ম্যাসাজ করুন। ম্যাসাজ রক্ত ​​সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য, রাতে ঘুমের আগে এটি ব্যবহার করুন এবং তেলটি সারারাত বসতে দিন এবং সকালে ধুয়ে ফেলুন।

অন্যান্য প্রাকৃতিক উপদানের সঙ্গে আলমণ্ড তেল মিশিয়ে ব্যবহার করলে চোখের নিচের ডার্ক সার্কেলের চিকিৎসায় ও প্রতিকারের আরও কার্যকর ফলাফল পাওয়া যায় ইন শা আল্লাহ। 

[সতর্কতা: বাহ্যিক প্রয়োগের ক্ষেত্রে আলমন্ড ওয়েল বেশিরভাগ মানুষের ব্যবহারের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। ব্যতিক্রম হল, যাদের আলমন্ড বা কাজু বাদামে এলার্জি আছে। সেক্ষেত্রে এই তেল ব্যবহার করা উচিত নয়।]

Leave a Reply